Friday, April 29, 2016

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান - Gastric Problem Solve in Bangla

দীর্ঘসময় যাবত খাবারের অনিয়ম এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবারের কারণে অনেককেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় পড়তে দেখা যায়।

যারা এই সমস্যায় ভোগেন তাদের খাবারে সামান্য একটু অনিয়ম হলেই শুরু হয়ে যায় গ্যাস্ট্রিকের মারাত্মক ব্যথা। অনেক সময় অতিরিক্ত অনিয়মে এই সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাই সৃষ্টি করে আলসার। তাই শুরুতেই সতর্ক হওয়া জরুরী। আজ জেনে নিন গ্যাস্ট্রিক সমস্যার চটজলদি দারুণ কিছু প্রাকৃতিক সমাধান। সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন এই সমাধানগুলো দূর করবে সাধারন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।

BD Health Tips
BD Health Tips


গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা আমাদের দেশে খুবই স্বাভাবিক ব্যপার। অনেককে বছরের প্রায় সময়ই ভূগতে হয় এ সমস্যায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর প্রতিকার হিসাবে পাওয়া যায় অনেক নামি দামি ওষুধ। কিন্তু আমাদের হাতের কাছের বিভিন্ন প্রকৃতিক জিনিস দিয়ে যদি করা যায় এর নিরাময়, তাহলে বাড়তি টাকা খরচ করার কি দরকার।

পেটে গ্যাসের সমস্যা নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এ সমস্যায় যারা ভুগেন কেবল তারাই বোঝেন এটি কতো যন্ত্রণার। একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, পার্টিতে মসলাযু্ক্ত খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর গ্যাসের সমস্যা। ফাস্ট ফুড, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে গ্যাস, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোনও বাসায় গেলেই গ্যাস্ট্রিকের ১ পাতা ওষুধ অবশ্যই পাওয়া যায়। তবে কী গাদা গাদা গ্যাসের ওষুধে এ সমস্যা দূর হয়!

কিন্তু ঘরোয় কিছু উপায় আছে যেগুলি প্রয়োগ করলে গ্যাস, বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়। আসুন এরকম কিছু উপাদানের কথা জেনে নিই।

১) শসা: শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।

২) দই: দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।

৩) পেঁপে: পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।

৪) কলা ও কমলা: কলা ও কমলা পাকস্থলীর অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কলার স্যলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটো কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।

৫) আদা: আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।

৬) ঠান্ডা দুধ: পাকস্থলির গ্যাসট্রিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠান্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডি দূরে থাকে।

৭) দারুচিনি: হজমের জন্য খুবই ভাল। এক গ্লাস জলে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।

৮) জিরা: জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে। দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে।

৯) লবঙ্গ: ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

১০) এলাচ: লবঙ্গের মত এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে।

১১) পুদিনা পাতার জল: এক কাপ জলে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।

১২) আমড়া: টুকরো করে রোদে দিয়ে খান কাজে দেবে। পেটে গ্যাস ও বদহজমজনিত সমস্যা সমাধানে আদা খুব উপকারী। খাবারে আদা যোগ করে বা কিছু পরিমাণ

১৩) আদা: আদা চিবিয়ে রসটুকু গ্রহণ করলে পেটে গ্যাস প্রতিরোধ করা যায়। আদা থেতো করে খান দখবেন অম্বল পালিয়েছে।

১৪) মৌরির জল-মৌরি ভিজিয়ে সেই জল খেলে গ্যাস থাকে।

আপনারা ইউটিউব থেকেও ভিডিও দেখে নিতে পারেন কিভাবে Gastric Problem Solve in Bangla – গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান



এছাড়াও খাবারে সরষে যোগ করুন : সরিষে গ্যাস সারাতে করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করা হয় যাতে সেইসব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে। নজর রাখতে হবে নিজের খাওয়া-দাওয়ার প্রতি। জেনে নিতে হবে কোনটি খাওয়া উচিত হবে কোনটি হবে না

Related Posts

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান - Gastric Problem Solve in Bangla
4/ 5
Oleh

Subscribe via email

Like the post above? Please subscribe to the latest posts directly via email.